আবরার হত্যার বিচার নিয়ে সংশয় আমীর খসরুর
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার বিচার এ সরকার সুষ্ঠুভাবে করবে কিনা- তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি এ সংশয় প্রকাশ করেন।
আমীর খসরু বলেন, বাংলাদেশে দুর্নীতির যে চিত্র ১০-২০টা অভিযানের মাধ্যমে তা শেষ হবে না। লক্ষ অভিযান করেও এই দুর্নীতি শেষ হবে না।
তিনি বলেন, যারা দুর্নীতি করছেন তাদের জন্য মাঠ খোলা আছে। কারণ যে দেশে উপর থেকে নিচ পর্যন্ত সবাই একই কাজে ব্যস্ত তারা আবার অন্যের কাজে কীভাবে বাধা দেবে? সুতরাং অনির্বাচিত সরকারের শুদ্ধি অভিযানে দুর্নীতি নির্মূল হবে না।
আমীর খসরু বলেন, একটি অনির্বাচিত সরকার যেখানে দেশ পরিচালনা করে, একটি অনির্বাচিত সংসদ যেখানে আইন প্রণয়ন করে- দুইটাই অবৈধ। অবৈধ সরকার, অবৈধ সংসদ দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেয় সেখানে কোনো আইনের শাসন থাকতে পারে না।
সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী দেশের অর্থনীতির অবস্থা তুলে ধরে বলেন, আজকে কোনো সাধারণ ব্যবসায়ীর ব্যবসা করার সুযোগ নেই। আওয়ামী ব্যবসায়ী ছাড়া অন্যদের বাংলাদেশে ব্যবসা করার কোনো সুযোগ নেই। সাধারণ মানুষের চাকরি পাওয়ারও কোনো সুযোগ নেই। প্রতি বছর লোকজন ৭০ হাজার, ৮০ হাজার, ৯০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে নিয়ে যাচ্ছে। এর একটা বড় অংশ হচ্ছে দুর্নীতির টাকা, দুর্বৃত্তায়নের টাকা। এটা পরিপূর্ণভাবে আওয়ামী অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে, দলীয় অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে সম্পাদিত চুক্তির প্রসঙ্গ টেনে আমীর খসরু বলেন, ভারতের সঙ্গে যে চুক্তির কথা বলা হয়েছে আমি সংক্ষেপে বলতে চাই, ভারত সরকারের বিরুদ্ধে এখানে কিছু বলার প্রয়োজন নাই। ভারতে একটি নির্বাচিত সরকার আছে। জনগণ ভোট দিয়ে তারা একটি নির্বাচিত সরকার করেছে। সেই সরকার তার ভোটারদের প্রতি তার দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তারা যা পাওয়ার নয়, তার চেয়ে বেশি বাংলাদেশ থেকে নিয়ে নিয়েছে। ভারতের নির্বাচিত তারা তাদের নাগরিকের প্রতি দায়িত্ব পালন করছে, তার দেশের দায়িত্ব পালন করছে।
তিনি বলেন, অথচ আমাদের অনির্বাচিত সরকার, অনির্বাচিত সংসদ তাদের তো জনগণের প্রতি দায়িত্ব পালন করার কোনো কারণ নাই। কারণ জনগণের কাছে তাদের যেতে হচ্ছে না, তাদের ভোটের দরকার হচ্ছে না। জনগণের প্রতি তাদের কোনো জবাবদিহিতা নাই। সেই কারণে বাংলাদেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে, বিক্রি করে দিয়ে, নিজের স্বার্থ তাদের দলীয় স্বার্থ পরিপূর্ণভাবে পালন করে ভারত থেকে ফিরে এসেছে। তাদের কোনো জবাব নাই।
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এ মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন- গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা কাদের গনি চৌধুরী, রফিক শিকদার, ফরিদ উদ্দিন, কাজী মনিরুজ্জামান প্রমুখ।
সূত্র: যুগান্তর
No comments:
Post a Comment