ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট কমিটি থেকে সাকিবের পদত্যাগ - BD Trends 24 । Breaking News । Latest News । Headlines । News । Bangla News

Breaking

BD Trends 24 । Breaking News । Latest News । Headlines । News ।  Bangla News

The Latest News from the BD and Around the World। Newspaper । Daily Star

Post Top Ad

Post Top Ad

Tuesday, October 29, 2019

ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট কমিটি থেকে সাকিবের পদত্যাগ

ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট কমিটি থেকে সাকিবের পদত্যাগ


সাকিব আল হাসান। ছবি : প্রথম আলো
সাকিব আল হাসান। ছবি : প্রথম আলো

মেলবোর্ন ক্রিকেট ক্লাবের (এমসিসি) ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন সাকিব আল হাসান। আইসিসির দেওয়া দুই বছরের নিষেধাজ্ঞার পরপর এই সিদ্ধান্ত নেন সাকিব।
২০১৭ সালের অক্টোবরে এমসিসির ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট কমিটির সঙ্গে যুক্ত হন সাকিব। এরপর অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ও ভারতের ব্যাঙ্গালুরুতে এই কমিটির দুটি সভায় অংশ নেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। ক্রিকেট সংস্লিষ্ট বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কাজ করতে সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটারদের নিয়ে গঠিত ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট কমিটি বছরে দুইবার সভা করে। ক্রিকেটের উন্নয়নে কাজ করা এই সংস্থাটি স্বাধীনভাবে পরিচালিত হয়। আগামী মার্চে শ্রীলঙ্কায় এর পরবর্তী সভা হওয়ার কথা।
ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট কমিটি থেকে সাকিবের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়েছে। ওয়েবসাইটে দেওয়া ওই বিজ্ঞপ্তিতে ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যান মাইক গ্যাটিং সাকিবের পদত্যাগের বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘এই কমিটি থেকে সাকিবকে হারানো সত্যি দুঃখজনক। গেল কবছর ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট কমিটিতে সাকিবের অনন্য অবদান ছিল। আমরা তাঁর পদত্যাগকে সমর্থন করি। মনে করি, এটিই সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল।’
এর আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি) গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে। এর মাঝে থাকছে এক বছর স্থগিত নিষেধাজ্ঞা। আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী নীতিমালার আইন লঙ্ঘনের অপরাধে সাকিবকে এ শাস্তি দিয়েছে আইসিসি। বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক অবশ্য এর দায় মেনে নিয়েছেন। আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটের কাছে তথ্য না জানানোয় এ শাস্তি পেয়েছেন সাকিব। ভবিষ্যতে একই ধরনের অপরাধ করলে এই স্থগিত নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।
এ ব্যাপারে আইসিসি একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। সেখানে সাকিবের বিরুদ্ধে আইসিসির দুর্নীতি দমন আইনের ২.৪.৪ ধারার অধীনে তিনটি অভিযোগ তোলা হয়েছে।
আইসিসির বিবৃতিতে বলা হয়েছে:
২.৪.৪ ধারা: ২০১৮ সালে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার ত্রিদেশীয় সিরিজ ও ২০১৮ সালে আইপিএলের সময় জুয়াড়িদের কাছ থেকে পাওয়া প্রস্তাবের কথা আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটের (এসিইউ) কাছে জানাননি সাকিব।
২.৪.৪ ধারা: ২০১৮ সালের ত্রিদেশীয় সিরিজেই তাঁর সঙ্গে জুয়াড়িরা দ্বিতীয়বার যোগাযোগ করলেও সেটি দ্বিতীয়বার এসিইউর কাছে বিস্তারিত জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন সাকিব।
২.৪.৪ ধারা: ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের একটি ম্যাচের আগে সাকিবকে ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সেটিও যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি।
সাকিব আল হাসান সব কটির দায় স্বীকার করে নিয়েছেন এবং আইসিসির দুর্নীতি দমন ট্রাইব্যুনালের শুনানিতে দেওয়া সব শাস্তি মেনে নিয়েছেন। যদি নিষেধাজ্ঞার সময় শাস্তির সব বিধিবিধান মেনে চলেন, তবে ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন।
এ ব্যাপারে আইসিসির নৈতিকতাবিষয়ক মহাব্যবস্থাপক অ্যালেক্স মার্শাল বলেন, ‘সাকিব আল হাসান অত্যন্ত অভিজ্ঞ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। তিনি এ ব্যাপারে অনেকগুলো ক্লাসেই অংশ নিয়েছেন এবং এ কোডের অধীনে তাঁর দায়িত্বের কথা জানেন। তাঁর উচিত ছিল এসব প্রস্তাবের কথা জানানো। সাকিব সব দায় স্বীকার করে নিয়েছেন এবং এ তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করেছেন। তিনি ভবিষ্যতে আইসিসির সততা বিভাগকে সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছেন। তরুণ ক্রিকেটারদের তাঁর ভুল থেকে শিক্ষা নিতে বলবেন। আমি তাঁর প্রস্তাব গ্রহণ করতে পেরে খুশি।’

Source: Prothomalo

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad